ঢাকা | বঙ্গাব্দ

হাতিয়া দ্বীপ উন্নয়নে দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এড. মাহফুজুল হক

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 27, 2025 ইং
হাতিয়া দ্বীপ উন্নয়নে দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন এড. মাহফুজুল হক ছবির ক্যাপশন: এড. মাহফুজুল হক
ad728
আবিদ উল্যাহ জাকের: হাতিয়ার কথা অনলাইন
নোয়াখালীর উপকূলীয় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার বুড়িরচর দায়রা বাড়িতে জন্ম নেওয়া শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বর্তমানে শুধু একজন আইনজীবী নন, বরং একজন সমাজসেবক, সংগঠক ও উন্নয়ন চিন্তক হিসেবেও সুপরিচিত। ১৯৮৫ সালে জন্ম নেওয়া এ কৃতী ব্যক্তি খ্যাতিমান আলেম ও সমাজসেবক মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ফয়েজুর রহমানের সুযোগ্য সন্তান। দাদা ছিলেন সুখচর গোঁড়ান দায়রা বাড়ির বড় হুজুর, আর নানা ছিলেন সাগরিয়ার মাওলানা সালেহ উদ্দিন। তার পরিবারিক শেকড়েই রয়েছে শিক্ষা, ধর্ম ও সমাজসেবার ঐতিহ্য।

প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় হাতিয়ার সাগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পঞ্চম শ্রেণিতে সরকারি বৃত্তি লাভ করে তিনি মেধার প্রমাণ রাখেন। পরবর্তীতে বুড়িরচর শহিদ আলী আহমেদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি সম্পন্ন করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে। এর পর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উন্নয়ন অধ্যয়নে স্নাতকোত্তর এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রি অর্জনের মাধ্যমে তার শিক্ষা জীবনের পরিসর বিস্তৃত হয়।

ছাত্রজীবন থেকেই তিনি ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি হিসেবে সফলভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীতে তিনি শিবিরের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার, সাহিত্য ও দাওয়াহ বিভাগের সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ শাখার মজলিসে শূরা সদস্য ও শাহবাগ পশ্চিম থানার আমির। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সংগঠনিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকে তিনি তুরস্ক, নেপাল, ভারত, শ্রীলংকা ও সৌদি আরব সফর করেছেন।

আইনজীবী হিসেবে শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক বর্তমানে ঢাকা জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করছেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী আইন উপদেষ্টা এবং ইসলামী ব্যাংক ও নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ একাধিক প্রতিষ্ঠানে প্যানেল আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মানবাধিকার আইনজীবী ও সংগঠক হিসেবে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করেছেন। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি।

ছাত্রজীবন থেকেই সমাজকল্যাণমূলক কাজে সক্রিয় এডভোকেট মাহফুজুল হক ঢাকাস্থ হাতিয়া ছাত্র কল্যাণ পরিষদ গঠন করেন এবং পরবর্তীতে “হাতিয়া উন্নয়ন ফোরাম” প্রতিষ্ঠা করেন, যার তিনি বর্তমানে সভাপতি। তিনি শিক্ষার উন্নয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন এবং মেধাবী শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। হাতিয়ার জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তিনি স্থানীয় আদালত স্থাপনে উদ্যোগ নিয়েছেন এবং দেওয়ানি আদালতে বিচারক নিয়োগ ও ভবন নির্মাণে ভূমিকা রাখছেন।

স্বাস্থ্য খাতে তার অন্যতম অবদান হলো হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ২০০ শয্যায় উন্নীত করা ও প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগের দাবিতে অব্যাহত প্রচেষ্টা। এছাড়া ইবনে সিনা ও ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের শাখা হাতিয়ায় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। যোগাযোগ খাতে তিনি দ্বীপাঞ্চলকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে ফেরি সার্ভিস চালুর প্রস্তাব দেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।

হাতিয়াকে টেকসই, আধুনিক ও সম্ভাবনাময় দ্বীপে রূপান্তরের জন্য তার সুপরিকল্পিত লক্ষ্য রয়েছে। তিনি যোগাযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন, রোড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ, পর্যটন জেটি নির্মাণ, কারিগরি শিক্ষা ও ডিজিটাল শিক্ষার প্রসার, যুব ও নারীদের দক্ষতা উন্নয়ন, আধুনিক হাসপাতাল, টেলিমেডিসিন ও ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা ইউনিট প্রতিষ্ঠা, ফিশ প্রসেসিং জোন নির্মাণ, টেকসই বাঁধ ও নদীভাঙন রোধ এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটন উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন।

এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক শুধু একজন দক্ষ আইনজীবীই নন, বরং একজন দূরদর্শী চিন্তক ও সমাজনেতা। তার জ্ঞান, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা, উন্নয়ন পরিকল্পনা ও মানবিক মনোভাব হাতিয়ার সামগ্রিক উন্নয়নে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। তার নেতৃত্বে হাতিয়া এক উন্নত, টেকসই ও সমৃদ্ধ উপকূলীয় জনপদে পরিণত হওয়ার স্বপ্নে এগিয়ে যাচ্ছে।

নিউজটি পোস্ট করেছেন : Hatiyar Kotha

কমেন্ট বক্স
বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের নিকট নূরের ক্ষমা চাওয়ার

বক্তব্য প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের নিকট নূরের ক্ষমা চাওয়ার