নোয়াখালীর কবিরহাট-সোনাপুর সড়কে বাস চলাচলের ওপর কথিত সিন্ডিকেটের কারণে সৃষ্ট অনিয়ন্ত্রিত যান চলাচল ও ধারাবাহিক দুর্ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই মাসেই (নভেম্বর ২০২৫) এই সড়কে পৃথক দুর্ঘটনায় একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
৪ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে দুপুর আনুমানিক আড়াইটার দিকে কবিরহাট আলিম মাদ্রাসার সামনের সোনাপুর-কোম্পানীগঞ্জ সড়ক (যা কবিরহাট-সোনাপুর সড়কের অংশ)-এ যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে দুই কলেজ শিক্ষার্থী, অটোরিকশাচালক ও অন্যান্য যাত্রীরা ছিলেন। এই একই সড়কে গত কয়েকদিন আগে আরও একটি দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল, যার মধ্যে একজন শিশুও ছিল।
অভিযোগ উঠেছে, বসুরহাট-কবিরহাট থেকে সোনাপুর সড়কে বাস নামতে দেওয়া হচ্ছে না একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের কারণে। এই সিন্ডিকেটের মদদে ফিটনেসবিহীন ও অনিয়ন্ত্রিত ছোট যানবাহন, যেমন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ইজিবাইক, চলাচল করে। এই ছোট যানবাহনগুলো প্রায়শই দ্রুতগতিতে চলার চেষ্টা করে এবং পণ্যবাহী ট্রাকের সাথে পাল্লা দিতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এই সিন্ডিকেটের কারণে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে এসব অনিরাপদ যানবাহনে যাতায়াত করেন, যার ফলে প্রতিনিয়ত প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। স্থানীয় জনগণ ও শিক্ষার্থীরা এই সিন্ডিকেটের অবসান এবং দ্রুত বাস সার্ভিস চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল করেছেন।
৪ নভেম্বরের দুর্ঘটনার পর স্থানীয় জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ঘটনার পরপরই ব্যবস্থা নেয় এবং ঘাতক ট্রাকের চালক আব্দুর জাহেরকে আটক করে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে এবং সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়ে যাত্রীদের জন্য বাস সার্ভিস চালুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।
Hatiyar Kotha