মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) ভোর রাতে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, হাতিয়া সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ইনসাফ বস্ত্র বিতানের মালিক কামরুল ইসলামের বাড়িতে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা ঘরের জানালায় দেওয়া টিন সরিয়ে প্রবেশ করে। তারা শয়ন কক্ষে চেতনানাশক ওষুধ ছিটিয়ে পরিবারের সবাইকে অজ্ঞান করে। পরে তারা ২ লাখ টাকা, ৯ ভরি স্বর্ণের গহনা, দুটি মোবাইল ফোন ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে প্রায় ২০ লাখ টাকার লুটপাট চালায়।
ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমি অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে মধ্যরাতে বাড়িতে এসে ঘুমোতে যাই। ফজরের নামাজের আগে আমার মেয়ের চিৎকার শুনে উঠে দেখি পুরো ঘর তছনছ। স্ত্রীর ৯ ভরি স্বর্ণ, নগদ ২ লাখ টাকা, আমার ও আমার ছেলের স্মার্টফোনসহ মূল্যবান সব মালামাল লুট হয়েছে। ঘরের সবাইকে ডাকলেও তারা না ওঠায় বুঝতে পারি তাদের অজ্ঞান করা হয়েছে। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন আসেন, এরপর চোরেরা ডগি দিয়ে পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান এ ধরনের সংঘটিত লুটের ঘটনা গভীরভাবে উদ্বেগজনক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দ্রুত দোষীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে উদ্যোগী হতে হবে, যাতে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে। এ ধরনের ঘটনা পুনরায় যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্কতা প্রয়োজন।
হাতিয়া থানার এসআই মিনহাজুল আবেদিন জানান বিষয় টি আমরা অবগত,তদন্ত চলছে।
তিনি বলেন, পুলিশ ইতোমধ্যেই ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। আমরা ঘটনার সঠিক তদন্ত নিশ্চিত করব এবং ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এ দিকে ব্যবসায়ীর ছেলে আবু তালহা ও দোকানের স্টাফ রাকিব কে হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
Hatiyar Kotha