
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বিতর্কিত হন। বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জোরপূর্বক গুম এবং ভিন্নমত দমনের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে, যা একসময় বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করার নেতার ক্ষেত্রে ছিল একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন।
হাসিনা বলেছেন, গত বছর সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে হওয়া হত্যাকাণ্ড ছিল দুঃখজনক, কিন্তু তিনি নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তার বাবা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালে দেশটির স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং পরে দেশটির প্রথম প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ তিনি ১৯৭৫ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। বিদেশে থাকায় তখন হাসিনা ও তার বোন রেহানা বেঁচে গিয়েছিলেন।
হাসিনা সত্যিকার অর্থেই এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি, যিনি বিরোধী দলে থাকার সময় অনেকবার আটক হয়েছেন এবং কয়েকবার হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে যান।
তবে আজকের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে তার রাজনীতিতে ফেরা, এমনকি নিকট ভবিষ্যতে বাংলাদেশে ফেরার সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসতে পারে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা